Update

★★★ স্বপ্নায়ন পরিবারের সদস্য ফরম বিতরণ চলছে। যোগাযোগ- ফারুক ষ্টোর, উপজেলা গেট সংলগ্ন,শ্রীবরদী । অতবা www.facebook.com/sopnayon ★★★ আমরা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি "স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার"। সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো ---স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার-এর পক্ষ থেকে - মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিতন- তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, স্বপ্নায়ন পরিবার ।

হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গ


হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গ



  

  
 

  আমাদের দেশে অনেক ব্যাক্তিই হৃদরোগে ভুগছেন । বিশেষ করে বয়ষ্ক ব্যাক্তিরা । কেউ উচ্চরক্তচাপজনিত হৃদরোগ, কেউবা ডায়াবেটিসজনিত হৃদরোগ কেউ হয়তবা করোনারি আর্টার ব্লকজনিত হৃদরোগ আবার কেউ কেউ রিং অথবা বাইপাস-পরবর্তী হৃদরোগে ভুগছেন । এসব ছাড়াও আরও অনেক ধরণের হৃদরোগ যেমন- কার্ডিওমাইওপ্যাথি, হার্টের বাল্বের সমস্যা, থাইওরয়েড হরমোঞ্জনিত হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক-পরবর্তী হৃদরোগ ইত্যাদি । আপনি যে ধরনের হৃদরোগেই ভোগেন না কেন সব ধরনের হৃদরোগের উপসর্গ প্রায় একই রকম, বিশেষ করে যখন রোগ পুরনো ও জটিল অবস্থায় পর্যবসিত হয় । চিকিৎসার মাধ্যমেহৃদরোগ একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব । হৃদরোগ চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রোগীকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সক্ষমতা দান করা, রোগের উপসর্গ থেকে রোগীকে মক্তিদান করা, রোগীর হাসপাতাল ভর্তির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা এবং সর্বোপরিভাবে রোগীকে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে দূরে রাখা । আপনি যদি কোনো রূপ হৃদরোগে ভোগতে থেকেন তার মানে এই নয় যে , আপনি সামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে ঘরে বসে  বিশ্রামে থাকবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন । আমাদের সমাজে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, যে ব্যাক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তার কোনো ধরনের কাজকর্ম ক্রা যাবে না, তাকে সব সময় বিশ্রামে থাকতে হবে এবং মাছ, মাংস, ডিম, দুধ জাতীয় সব ধরনের খাবার বর্জন করতে হবে । এ ধরনের সামাজিক ও পারিবারিক আচরণ রোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটা পঙ্গু করে ফেলে । রোগী তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে । অনেকে হার্ট অ্যাটাকের ভয়ে সব সময় খুব বেশী ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটাতে থাকেন । এসব কিছু বর্তমান যুগের কুসংস্কার বলা যেতে পারে । বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো, হৃদরোগীরা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন, তারাও সামাজিক সব ধরনের কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারবেন, যেমন চাকরি অথবা ব্যবসা দেখাশোনা করতে পারবেন, তারা প্রায় সব ধরনের খাদ্যবস্তু পরিমিত মাত্রায় খেতে পারবেন, তবে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে । যেমন- উত্তেজিত হওয়া, মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টিকারী কাজকর্ম, বিশ্রাম গ্রহণ না করে দীর্ঘসময় ধরে একটানা কাজ করা ইত্যাদি । খাবারের মধ্যে চর্বি জাতীয় খাবার বিশেষ করে পশুর চর্বি বর্জন করতে হবে । চর্বিবিহীন গরু-ছাগলের মাংসও একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়া যাব্র এবং খেতে হবে চর্বিবিহীন হাঁস-মুরগির মাংস । প্রায় সব ধরণের মাছ খেতে পারবেন । সপ্তাহে এক-দুইটা ডিম ও কেজিখানেক দুধও খাওয়া যাবে । শাকসবজি, ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে । যারা হৃদ্রোগে ভুগছেন তাদের মধ্যে পার‍্য সবাই কোনো না কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধপত্র গ্রহণ করছেন, এটাই স্বাভাবিক । তাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায়, ঔষধপত্র গ্রহণ করার পরও হৃদরোগের উপসর্গে ভুগতে থাকেএ ক্ষেত্রে বলা যায় যে, আপনার চিকিৎসা সঠিকমাত্রায় হচ্ছে না, এর জন্য আপনাকে আবার চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন । বিশেষ করে যদি আপনার ঘনঘন শ্বাসকষ্ট হতে থাকে, সামান্য চলাফেরা বা হাঁটাহাঁটিতে শ্বাসকষ্ট হয়, সিঁড়ি বেয়ে দু-তিন তলায় উঠতে গেলে আপনি প্রচন্ডভাবে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন, অজু, গোসল, টয়লেট করতে গেলে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকেই আবার পরিধেয় পোশাক পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়, আবার কেউ কেউ পেট ভরে খাওয়ার পর, বিছানায় গেলে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, কারও কারও রাতে ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ঘুম ভেঙ্গে যায় । এসব পরিস্থিতিতে অবেহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম ।
ডা. এম শমশের আলী (কার্ডিওলজিষ্ট)
সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (প্রা.), ঢাকা
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গ হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গ Reviewed by RitonRH on January 02, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.