Update

★★★ স্বপ্নায়ন পরিবারের সদস্য ফরম বিতরণ চলছে। যোগাযোগ- ফারুক ষ্টোর, উপজেলা গেট সংলগ্ন,শ্রীবরদী । অতবা www.facebook.com/sopnayon ★★★ আমরা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি "স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার"। সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো ---স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার-এর পক্ষ থেকে - মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিতন- তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, স্বপ্নায়ন পরিবার ।

শিশুর- হাঁপানি এবং নাক ডাকা


শিশুর হাঁপানি হলে কি করবেন




  হাঁপানি রোগের সূচনা এবং প্রকাশের সব কারণ বেশ জটিল । বংশগত ধারা এবং পরিবেশের নানা উপাদানের সংযোগে রোগের উজ্জীবন ঘটে । বাচ্চাদের বেলায় এ রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করা খুব সহজ নয় । কেননা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত শিশু হাঁপানির মতো লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে । কোনো বাচ্চাকে পরীক্ষা করে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টজনিত অসাভাবিক আওয়াজ যা সবসময় অথবা কিছুদিন পর পর শোনা যায়, যার সঙ্গে সচারচর কাশি থাকে তবে শিশুটি হাঁপানিতে ভুগছে মনে করতে হবে । হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চা প্রধানত শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে । বারবার এ অসুখে আক্রান্ত হয় এবং বারবার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার সাহায্যে আবার কখনোবা নিজে নিজেই সেরে উঠে । অ্যালার্জিজনিত বা এটোপিক হাঁপানি শিশুর অল্প বয়সে হতে দেখা যায় । কোনো খাবার জিনিস কিংবা ঔষধে বাচ্চার অ্যালার্জি দেখা গেলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তৈরি ঘটে । এ সব পদার্থ পরে সংবেদনশীল শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে । এধরণের হাঁপানিতে দেখা যায় মা-বাবা অথবা বাবার দিকে কারও মধ্যে হাঁপানি বা অ্যালার্জির বংশগত উপস্থিতি । দেখা যায় ধোঁয়া, ধূলাবালি, পশুর লোম, পলক, ঘাস এবং ফুলের রেণু, কিছু খাবার হাঁপানির উৎপত্তি ঘটায় ।
  হাঁপানি কিভাবে নির্ণয় করবেনঃ
(ক) হাঁপানি বা অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস ।
(খ) বাচ্চা বারবার শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে এবং শাঁ শাঁ শব্দ শোনা গেলে ।
(গ) সব সময় অথবা বারে বারে কাশি লেগে থাকলে ।
(ঘ) রাতে শোবার বেলায় বা ভোরের দিকে কাশি বা শ্বাসকষ্টের আওয়াজ  ।
(ঙ) উপসর্গ দেখা দেওয়ার সূচনা হিসাবে কোনো ভাইরাস জ্বর, ব্যায়াম, মানসিক চাপ অথবা বিশেষ কোনো খাবার বা আবহাওয়া জড়িত আছে বলে মনে হলে ।
  আধুনিক চিকিৎসাঃ
বাচ্চাদের হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় অনেক বিপ্লব এসেছে যেসব উদ্দেশ্যকে চিন্তা করে চিকিৎসাকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে যেগুলো হলোঃ * বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট লাঘব করে সে যেন ঘরে এবং স্কুলে স্বাভাবিক কার্যকর জীবনযাপন করতে পারে । * ফুসফুসে স্বাভাবিক কার্যাদি বজায় রাখা ।
  প্রধান ধাপগুলো হলোঃ
(ক) পরিহার করাঃ ধোঁয়া, ধুলা, ঠান্ডা জাতীয় খাবার বা অন্য কোনো জিনিসের প্রতি বাচ্চার অ্যালার্জি- যে সব কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্টের শুরু সেসব থেকে বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বাঁচানো ।
(খ) ধাপে ধাপে চিকিৎসাঃ এ ব্যাপারটি একটি নতুন অগ্রগতি ।

--অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ
বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইকবাল চেষ্ট সেন্টার,

মগবাজার ওয়্যারলেস, ঢাকা ।






শিশুরা যদি নাক ডাকে

 

   নাক ডাকার সমস্যার সঙ্গে আমরা সবই পরচিত, যা শিশুদের মাঝেও দেখা যেতে পারে । শিশু যদি নিয়মিত নাক ডাকে তবে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে ।

শিশুদের নাক ডাকার কারণঃ ঠান্ডা লেগে বা অ্যালার্জিজনিত নাক বন্ধ/জ্যাম হয়ে যাওয়া । *টনসিল ও নাকের পেছনে গলার ওপর দিকে এডিনয়েড গ্রন্থি প্রদাহ বা সংক্রামণে বড় হয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট বা নাকে শব্দ হয় ।* দুই নাকের মধ্যবর্তী পর্দা বেশি বেঁকে থাকলেও নাকে শব্দ হয় । * জন্মগতভাবেই এমন থাকতে পারে* সাইনাস সমস্যায় বা প্রবাহে । * স্থূল শিশুদের নাক ডাকে, যাদের গলায় বায়ু চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে । * থাইরয়েডর সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগে । (অ্যাক্রোমেগালি) ।
  স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিঃ শিশুর ঘুমের সময় শ্বাসনালিতে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়, এতে পুনঃপুন স্বল্পকালীন শ্বাসরোধ হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে । একে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলে । ফলে দিনের বেলায় ক্লান্তিভাবে থাকে এবং শিশু খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায় । তীব্র মাথা ব্যথায় ভোগে । শিশু কোনো কাজে/স্কুলে মনোসংযোগ করতে পারে না ফলে শেখায় সমস্যা হয় এবং মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয় । সমস্যার সমাধান না করলে শিশু হাবাগোবা হয়ে যেতে পারে । শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশষ্কা তৈরি হয় ।
 রোগ নির্ণয়ঃ রোগের ইতিহাস- *নাক ডাকা কতটা মারাত্মক? * নাক ডাকা কি ঘুমের মধ্যে শারীরিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নাকি যেকোনো অবস্থানেই নাক ডাকেন? * রোগী কতদিন থেকে নাক ডাকে? * OSA-এর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট/লক্ষণ রয়েছে কি?  * প্রতি রাতে নিয়মিত শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া * হরমোনজনিত সমস্যা অথবা অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটস অথবা হাইপো থাইরয়ডিজম ।
  পরীক্ষা-নিরিক্ষাঃ নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশুকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করে দেখবেন এবং প্রয়োজন হলে কিছু পরীক্ষা করবেন যেমন- * এক্স-রে এডেনয়েড * নাকের ও কন্ঠনালির অ্যান্ড্রোস্কপি * থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা * পলিসমোগ্রাফি-স্লিপ ল্যাবে ঘুমন্ত রোগীর শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ, ইসিজি, ইইজি, ইএমজি, ইওজি, শ্বাস-প্রশাসের ধরণ ইত্যাদি মনিটর করা হয় ।
 সমস্যার ঘরোয়া সমাধানঃ * অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করুন । * বিছানার মাথার দিক কয়েক ইঞ্চি উঁচুতে রাখা উচিত । * চিত না হয়ে বরং এক কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলান । * ঘুমানোর আগে বেশি ভরপেট না-খাওয়া ভালো ।
 চিকিৎসাঃ নাক বাঁকা, এডিনয়েড, টনসিল বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে অপারেশন করে নিন । * ঘুমের সময় CPAP/BIPAP মেশিন ব্যবহার ।*
--অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল
ঢাকা ।
শিশুর- হাঁপানি এবং নাক ডাকা শিশুর- হাঁপানি এবং নাক ডাকা Reviewed by RitonRH on January 02, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.