Update

★★★ স্বপ্নায়ন পরিবারের সদস্য ফরম বিতরণ চলছে। যোগাযোগ- ফারুক ষ্টোর, উপজেলা গেট সংলগ্ন,শ্রীবরদী । অতবা www.facebook.com/sopnayon ★★★ আমরা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি "স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার"। সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো ---স্বপ্নায়ন গ্রন্থাগার-এর পক্ষ থেকে - মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিতন- তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, স্বপ্নায়ন পরিবার ।

স্বাস্থ্য কথা

স্বাস্থ্য কথা 



   
 যে কারণে অ্যাজমা বাড়ে

গ্রিক ভাষায় আজমা শব্দের অর্থ হাঁ করে শ্বাস নেওয়া । গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস সর্বোপ্রথম আজমা শব্দটি ব্যবহার করেন । অ্যাজমা বা হাপানি হলো এমন একটি শারীরিক অসুস্থতা যার দ্বারা সব বয়সের লোকজন আক্রান্ত হতে পারে । আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসের শ্বাসনালি সাধারণ লোকজনের শ্বাসনালির তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর অর্থাৎ সামান্য কারণেই শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল । এ জন্য কোনো উত্তেজক যেমন ধুলুবালি, পশুপাখির স্পর্শ, ঠান্ডা, ফুলের রেণু ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে এদের শ্বাসনালি হঠাৎ সংকুচিত হয়ে তীব্র শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয় ।
   অ্যাজমার লক্ষণসমূহঃ দম বন্ধ অনুভূত হওয়া । বুকের ভিতন বাশিঁর মতো শাঁ শাঁ শব্দ অনুভব করা । বুক ভরে শ্বাস না নিতে পারা । অল্প পরিশ্রম করলে রোগী হয়রান অনুভব করবে ।
  কিছু তথ্যঃ পরিবেশের যেমন উপাদানে অ্যাজমার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাকে অ্যালার্জন বলে । নিম্নোক্ত কারণে অ্যালার্জন হয়ে থাকে -১. পোকা-প্রাণী ২. পশু-পাখির লোম ৩. ধুলুবালি, বিশেষ করে ঘরের মাইট ৪. ধুমপান ৫. পোকা-মাকড় ৬. ফুলের রেণু ৭. আবেগ/টেনশন ৮. ঠান্ডা আবহাওয়া ৯. কিছু খাবার- যেমনঃ বেগুন, পুঁইশাক, চিংড়ি, ইলিশ, গরু, পাকা কলা। হাঁসের ডিম ইত্যাদি । ১০. কিছু ব্যাথানাশক ওষধ । শুধু এগুলোর উপাদান দ্বারাই অ্যাজমা হবে এমন কোনো কথা নেই । অ্যালার্জন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে । অ্যাজমা অ্যালার্জিজিনিত রোগ তাই এ রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা । কোন জিনিসটাতে শিশুর অ্যালার্জিন পরিমাণ বাড়ছে খেয়াল করতে হবে । ট্যাবলেট বা ইনহিলার যে কোনো ওষধ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে নিতে হবে ।

শ্বাসকষ্টঃ

শ্বাসনালির ভিতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্তায় বাতাস সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারে । যখন কোনো অ্যালার্জন বা উত্তেজক জিনিস রোগীর শরীরে প্রবেশ করে তখন অসংখ হাজার ক্ষুদ্র শ্বাসনালিগুলো সরু হয়ে যায় । অ্যালার্জন প্রভাবে শ্বাসনালির গ্রন্থি থেকে ভারী মিউকাস পদার্থ বের হয় যাকে আমরা কফ বলি । রোগীর শ্বাস নেওয়ার শেষে আবার শ্বাস ফেলতে বেশী কষ্ট হয় । আর সরু শ্বাসনালি দিয়ে বাতাস যাওয়া-আসার সময় বাঁশির মতো সরু হয় । তখন মিউকাসজাতীয় আটালো কফের কারণে অনবরত কাশি হয়ে থাকে । শ্বাসনালি এত সরু হয় যে, বাতাস বায়ুথলিতে পৌছে না ; তখন শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে এবং কার্বন-ডাইঅক্সাইড জমা হতে থাকে । এ অবস্থায়কে বলা হয় সিভিয়ার অ্যাকিউই অ্যাজমা । এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে অক্সিজেনের অভাবে বা কার্বন-ডাইঅক্সাইড অতিরিক্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে । তাই অ্যাজমা নিয়ে আমাদের অবহেলা করা ঠিক নয় ।


অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা ।









সংগ্রহে-- http://www.jfpbooks.blogspot.com 
স্বাস্থ্য কথা স্বাস্থ্য কথা Reviewed by জাহিদ on December 19, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.